আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়ার চারটি আসনের মধ্যে তিনটি আসনেই আ.লীগের হেভি ওয়েট স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। একটি আসন কুষ্টিয়া সদর এই আসনে আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বর্তমান এমপি মাহবুব উল আলম হানিফ এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন করার কারণে এবারের নির্বাচনে তিনি জয়লাভ করবেন বলে সাধারণ ভোটাররা মনে করছেন।
অপর কুষ্টিয়া ১, ২ ও ৪ এই তিনটি আসনে বর্তমান এমপিদের প্রতি সাধারণ ভোটারদের আস্থা না থাকায় আ.লীগের হেভিওয়েট সাবেক এমপি ও একজন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের প্রতি সাধারণ ভোটাররা ঝুঁকে পড়ছেন। এই তিনটি আসনেই স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিপুল ভোটে জয়লাভ করবেন বলে সাধারণ ভোটাররা মনে করছেন।
বর্তমান ওই তিনজন এমপি গত পাঁচ বছরে লাখ টাকার পরিবর্তে কোটি কোটি টাকার মালিক হাওয়াই জেলা জুড়ে তাদের সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে এক সমীক্ষায় দেখা যায়, কুষ্টিয়ার ওই তিনটি আসনে নৌকার পরিবর্তে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা দলীয় নেতাকর্মীদের পুর্ণ সমর্থন নিয়ে ভোট যুদ্ধে মাঠে নেমে পড়েছেন।
সবচাইতে খারাপ অবস্থানে রয়েছেন, কুষ্টিয়া ২ (মিরপুর ভেড়ামারা) এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী কামারুল আরেফিনের পক্ষে আ.লীগের দলীয় নেতা কর্মীসহ সাধারণ ভোটাররা ভোটযুদ্ধে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
জাসদ সভাপতি বর্তমান এমপি হাসানুল হক ইনুর পক্ষে জাসদের মুষ্টি কয়েকজন নেতাকর্মী ছাড়া আর কোন সমর্থক মাঠ পর্যায়ে দেখা যাচ্ছে না। হাসানুল হক ইনু নৌকা প্রতীক নিয়ে এমপি নির্বাচিত হবার পর মিরপুর ও ভেড়ামারা এই দুটি উপজেলায় আ.লীগকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে ব্যাপক পরিকল্পনা চালিয়ে যায়। ফলে আ.লীগ ও জাসদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষসহ নানা ধরনের সংঘর্ষ দুই উপজেলায় ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় আ.লীগের চারজন নেতাকেও তারা হত্যা করে। এই বিরোধ দলীয়ভাবে মীমাংসা না হওয়ায় জাসদের প্রতি আ.লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।
অপরদিকে কুষ্টিয়া ৪ (কুমারখালী-খোকসা) এ আসনে বর্তমান এমপি সেলিম আলতাফ জর্জ গত পাঁচ বছরে এলাকার উন্নয়ন তো দূরের কথা দলের মধ্যে দিধা দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে দলকে একাধিকভাবে বিভক্তি করে ফেলেন। যে কারণেই বর্তমান এমপি তৃণমূল আ.লীগের সমর্থন নিতে পারছেন না। এই সুযোগে আ.লীগের সাবেক এমপি আব্দুর রউফ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তৃণমূল আ.লীগের সমর্থন পেয়ে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এগিয়ে আছেন।
তবে সমর্থকরা ব্যাপক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন নৌকা প্রার্থীরাই ভোট না পেলেও নির্বাচনে জয়লাভ করবেন। যেহেতু দলীয়ভাবে ১৪ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে ওইসব এমপিরা নির্বাচন করছেন।
সাধারণ ভোটাররা একথা আলোচনা করছেন তারা ভোট দিতে পারবেন কিনা, ভোট কেন্দ্রে যাবেন কিনা এনিয়েও ব্যাপক আলোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল নির্বাচনে না আশায় ভোটারদের মধ্যে ভোট প্রদানের তেমন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না।
টিএইচ